আমাদের চীনে আসার গল্প (পর্ব-২)
অজয় কান্তি মন্ডলঃ উজ্জ্বল দাদা বারবার ফোন কলে
দিবকর দাদাকে যত দ্রুত পারা যায় আমাদের প্রবেশের নির্দিষ্ট গেটের কাছে আসতে বলছিল।
অবশেষে দিবাকর দাদা অন্তুর জন্য খেলনা এবং হীরার রাতের খাবার নিয়ে আসল কিন্তু আমরা
তখন ভিতরে। আমি গার্ডদের বলে বাইরে আসলাম। দাদা অন্তুকে কোলে নিয়ে খেলনাটা দিল। অন্তু অনেক খুশি
মামাবাবুর থেকে খেলনা পেয়ে। বেশি সময় ব্যয় না করে দাদাদের থেকে বিদায় নিয়ে আবার ভিতরে প্রবেশ করলাম। কারন ওদিকে ‘নীলিমা’ ভিতরে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। সেবার নীলিমা ও প্রথম
দেশের বাইরে যাচ্ছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি স্কলারশিপ হয়েছে ওর। তাই আমাদের সাথে ওর
যাওয়া। ভিতরে
আসতেই দেখি নীলিমার পরিবারের সবাই সাথে ওর সব বন্ধু-বান্ধব এসেছে ওকে বিদায় জানাতে। আঙ্কেল, অ্যান্ট, ওর সব বন্ধুসহ ওর নিজের
চোখে জল। সেটাই স্বাভাবিক বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে আজ দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। অনেক বুঝিয়ে
আঙ্কেল আন্টকে আশ্বস্ত করলাম ‘আমরা তো আছি
নীলিমার কোন সমস্যা হবে না। আপনারা মন খারাপ কইরেন না’। আঙ্কেল আন্টকে বুঝাতে গিয়ে নিজের চোখের জলও বাঁধ মানল
না। বারবার মনে পড়ছিল মা বাবা সহ পরিবারের সবার কথা। আমরা চলে আসার সময় অনেক
কান্নাকাটি করেছিল তারা সবাই মিলে। মনের অজান্তেই কয়েকবার দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে সবার থেকে বিদায়
নিলাম। এরপর কাউন্টারে গিয়ে লাগেজ
দিলাম সাথে আমাদের বোর্ডিং পাস নিলাম। কাউন্টারে যিনি ছিলেন ওনাকে বলায় উনি বিমানে
আমাদের চারজনের পাশাপাশি আসনে বসার ব্যবস্থা করে সেভাবেই বোর্ডিং পাস দিল।
BCYSA.ORG
এর নিউজ-এ আপনিও লিখতে পারেন। গণচীনে প্রবাস জীবনে আপনার অভিজ্ঞতা, বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাম্পাসের খবরাখবর, আনন্দ-বেদনার গল্প, স্মৃতিচারণ, ভ্রমণ, অনুভূতি, বিশেষ
অনুষ্ঠানের প্রতিবেদন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর
ছবিসহ আমাদের (বাংলা অথবা ইংরেজিতে) পাঠাতে পারেন। লেখা পাঠানোর ইমেইল :
[email protected]।