এয়ার টিকেট কাটার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে
মোঃ আলামিনঃ বিদেশ গমন, ভ্রমণ কিংবা অন্য যেকোন প্রয়োজনে বিমানের টিকেট কাটার সময় কিছু কিছু বিষয়ে একটু সজাগ দৃষ্টি রাখলে পরবর্তীতে কিছু সম্ভাব্য বিড়ম্বনা এড়ানো যায়।
ট্রানজিট
বাংলাদেশ থেকে শুধু বিশ্বের কয়েকটা শহরেই সরাসরি ফ্লাইট আছে,
সেটা আবার অনেক সময়ই দামের কথা চিন্তা করলে আমাদের নাগালের বাইরে
থাকে। তাই ব্যাংকক, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, কলকাতা আর মধ্য প্রাচ্যের কয়েকটা
শহর ছাড়া বেশির ভাগ জায়গায় যাওয়ার জন্যই ট্রানজিট ফ্লাইট নিতে হয়।
ট্রানজিট ফ্লাইট যদিও সমস্যার কিছু না,তবে
ট্রানজিটের জন্য ভিসা লাগবে কিনা, সেটা জানাটা জরুরি।
মোটামুটি সব দেশের ইমিগ্রেশন একই রকম। PNR (Passenger Name Record) এ ফ্লাইট থাকলে আর কেউ যদি ট্রানজিট এলাকাতেই থাকে,তাহলে ভিসা ছাড়াই পরের ফ্লাইট ধরতে পারে। তবে কিছু দেশ যেমন
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া,
নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও হংকং এ সেই
অনুমতি থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভিসা না থাকলে বোর্ডিং পাস দেয় না, এমনকি এয়ারপোর্টের ট্রানজিট জোনে থাকলেও তা কার্যকর হয় না। একারণে এসব
দেশের কোনো শহরে ট্রানজিট থাকলে অবশ্যই এজেন্সির সাথে বা এয়ারলাইন্সের সাথে
যোগাযোগ করে আগে থেকেই ভিসা লাগবে কিনা তা জেনে নেওয়া উচিত। যেহেতু অনেকেই এখন
অনলাইনে টিকেট করে থাকেন, তাই 'IATA Travel
Centre' এর ওয়েবসাইট থেকে বিষয়টি জেনে নিতে পারেন।
এছাড়াও কারো যদি একই দেশে দু'টি
এয়ারপোর্টে ট্রানজিট থাকে, তাহলে সেই ক্ষেত্রে ঐ দেশের
ভিসা থাকাটা আবশ্যক। যেমন কম খরচে চায়না থেকে বাংলাদেশ আসার জন্য অনেকেই চায়নার যে
কোনো শহর থেকে মালয়েশিয়ায় জোহর বারু এয়ারপোর্ট থেকে কুয়ালালামপুর এয়ারপোর্ট হয়ে ঢাকা আসে। এক্ষেত্রে একই PNR এ ৩ টা ফ্লাইট হয়ে থাকলেও মালয়েশিয়ার ভিসা লাগে।
আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে ট্রানজিট এর ক্ষেত্রে, যদি কেউ কোনো টিকেটের একটা সেগমেন্ট
মিস করে বা বোর্ড না করে, তাহলে তার পরের সব
সেগমেন্টস ই আপনাআপনি বাতিল হয়ে যায়। এই ক্ষেত্রে No show চার্জ বা রিজার্ভেশন ফী দিয়ে, আবার নতুন করে
টিকেট ভ্যালিডেট করতে হয়। এটা শুধুমাত্র একই PNR এ যে সব
সেগমেন্টস আছে সেক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। যেমন, হয়তো তুর্কিশ
এয়ারলাইন্সের টিকেট করা, ঢাকা থেকে ইস্তানবুল হয়ে রোম
তারপর আবার রোম থেকে ইস্তানবুল হয়ে ঢাকা ফেরত আসার। কোনো কারণে ঢাকা থেকে
ইস্তাম্বুলের ফ্লাইটটা মিস হলে, পরের সবগুলা ফ্লাইট
আপনাআপনি বাতিল হয়ে যাবে। তাই এক্ষেত্রে আগে থেকেই ট্রাভেল ডেটের আগে Itinerary
বা ভ্রমণপথটা এজেন্সির মাধ্যমে পরিবর্তন করে নেয়া উচিৎ।
BCYSA.ORG
এর নিউজ-এ আপনিও লিখতে পারেন। গণচীনে প্রবাস জীবনে আপনার অভিজ্ঞতা, বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাম্পাসের খবরাখবর, আনন্দ-বেদনার গল্প, স্মৃতিচারণ, ভ্রমণ, অনুভূতি, বিশেষ
অনুষ্ঠানের প্রতিবেদন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর
ছবিসহ আমাদের (বাংলা অথবা ইংরেজিতে) পাঠাতে পারেন। লেখা পাঠানোর ইমেইল :
[email protected]।